Tuesday, December 7, 2010

ঢাকার চারদিকে মুক্তাঞ্চল :মোস্তফা মহসীন মন্টু


মাহবুব মোর্শেদ
ঢাকার আশপাশ এলাকায় শক্ত প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা। ২ নম্বর সেক্টরের যোদ্ধারা এলাকাবাসীর
সহযোগিতা নিয়ে বেশকিছু শক্ত ঘাঁটি তৈরি করেছিলেন। কেরানীগঞ্জকেন্দ্রিক ঘাঁটির নেতৃত্বে ছিলেন মোস্তফা মহসীন মন্টু। তার মতে, ঢাকার চারপাশের প্রতিরোধ ব্যবস্থা সম্পর্কে জানা ছিল বলেই মিত্রবাহিনীর পক্ষে সরাসরি ঢাকা আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয়েছিল ৩ ডিসেম্বরের পর। ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় দুঃসাহসিক নানা অভিযান, ডিসেম্বরের চূড়ান্ত যুদ্ধ ও গেরিলাযুদ্ধ কৌশল নিয়ে তিনি কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে।
বিস্তারিত সাক্ষাৎকার পড়ূন পৃষ্ঠা-৪
...........................................
ঢাকার চারদিকে মুক্তাঞ্চল গড়ে উঠেছিল


সমকাল : ডিসেম্বরের প্রথম দিকে আপনাদের বাহিনীর অবস্থান কোথায় ছিল?
মোস্তফা মহসীন মন্টু : ৩ ডিসেম্বর যখন এয়ার রেইড হয় সে সময়টায় আমি ছিলাম সাভার থানার কাছাকাছি। এর আগে ২৭ নভেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে আমাদের বড় ধরনের একটি যুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল। এটি হয়েছিল সোনাকান্দা, সৈয়দপুর, মরিচাঘাটে। এক রাত এবং দু'দিন স্থায়ী হয়েছিল সে যুদ্ধ। কেরানীগঞ্জের রুইৎপুর ইউনিয়নের তুলসীখালী, মরিচাঘাট, ধলেশ্বরী নদীর এপার-ওপারে এ যুদ্ধ হয়েছিল। পাক হানাদাররা মানিকগঞ্জ থেকে নবাবগঞ্জ হয়ে কেরানীগঞ্জ আসছিল। তারা নবাবগঞ্জে থাকার সময়ই আমরা তাদের আসার খবর পেয়ে যাই। আমি তখন কেরানীগঞ্জেই ছিলাম। আমার সঙ্গে ছিল প্রায় ৩শ' জন মুক্তিযোদ্ধা। কেরানীগঞ্জের অন্য মুক্তিযোদ্ধাদের কাছেও আমি তখন খবর পেঁৗছে দেই। ঢাকা শহরের উপকণ্ঠেই কেরানীগঞ্জের অবস্থান। মূলত এখান থেকেই আমরা ঢাকা শহরের অপারেশনগুলো পরিচালনা করতাম। ধলেশ্বরী নদীর দু'দিকে আমরা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর জন্য ওত পেতে ছিলাম। এদিকে ধলেশ্বর নদীর ঘাটে দুটি নৌকা রেখে বাকি নৌকাগুলো আমরা বন্ধ করে দিই। ওই দুটি নৌকাকে ফেরি বানিয়ে পাক হানাদাররা নদী পার হচ্ছিল। আমরা এটা করেছিলাম তাদের মুভমেন্টকে ধীরগতি করার জন্য। ভোরবেলা তারা ওই নৌকাতে পার হচ্ছিল। সঙ্গে তাদের গোলাবারুদ পার করছিল। এভাবে তারা অর্ধেকেরও বেশি রসদ ও কিছু সৈন্য পার করে ফেলার পর আমরা তাদের আক্রমণ করি। এর আগে আমরা তাদের বুঝতেও দিইনি। নভেম্বর মাস, জায়গায় জায়গায় মাটি ছিল শুকনো এবং ওই জায়গাটা ছিল একটু উঁচু ধরনের। জমিতে রবিশস্য লাগানো হয়েছিল। কথা ছিল, তারা অর্ধেকের বেশি রসদ পার করলেই সংকেত দেওয়া হবে। তখন দু'দিক থেকে আমরা আক্রমণ করব। সিগন্যাল পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ফায়ার শুরু হলো। প্রথম ফায়ার ওপেন করেছিল আমার ছোট ভাই। ফায়ার করেই সে বাঙ্কারে চলে গেল। পাক হানাদার বাহিনী তার অবস্থান লক্ষ্য করে গুলি শুরু করল। আর এদিকে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আমাদের লোকজনও গাছ থেকে নেমে পড়ল। তারপর আমরা সে অবস্থান থেকে আমাদের লোকজন নিয়ে পাকিস্তানিদের ঘেরাও করি। এ যুদ্ধে তাদের প্রায় ১৫-২০ জন মারা গেল এবং আমাদের হাতে ধরা পড়ল ২৭ জন।
সমকাল : যারা ধরা পড়ল তারা কারা?
মোস্তফা মহসীন মন্টু : তারা পাঞ্জাব আর্মি। এর মধ্যে একজন ক্যাপ্টেন ছিল।
সমকাল : যুদ্ধ দু'দিন চলল?
মোস্তফা মহসীন মন্টু : আমরা সারারাত তাদের ঘেরাও করে পজিশন নিয়েছিলাম। পরের দিন তাদের দিক থেকে গুলি কমে এলো। তখন শত্রুর অবস্থান জানার জন্য আমরা এলএমজিতে ৫ রাউন্ড পরপর একটা করে ট্রেসার রাউন্ড সেট করতাম। এই বুলেটটি যাওয়ার সময় আলো ছড়ায়। এভাবে ওরাও ট্রেসার রাউন্ড হিট করছে, আমরাও করছি। সকালের দিকটা একটু ঠাণ্ডা। তখন পাকিস্তানিদের দিক থেকে ওদের ওয়্যারলেস বার্তার শব্দ শুনতে পাচ্ছিলাম। ওরা জোরে জোরে বলছে, রেসকিউ রেসকিউ। ওদের বাকি সিগন্যালগুলো আমরা বুঝতে পারছিলাম না। সে সময় আমরা খবর পেলাম, পাক হানাদাররা এসে বাড়িঘরের দরজা ভেঙে নিয়ে যাচ্ছে। তখন আমি অনুমান করলাম, তারা এটা করছে লাশ অথবা আহতদের সরানোর জন্য স্ট্রেচার তৈরির কাজে। তখন আমি কিছু ছেলেকে গ্রামের দিকে পাঠিয়ে দিলাম। তখন ১০-১৫ জন গিয়ে গ্রামে পজিশন নিল। যখনই তারা গ্রামে ঢুকতে যায় তখনই তারা ফায়ার করে। তবে এই সময়ের মধ্যে তারা ১০-১২টি বাড়ির দরজা ভেঙেছিল। সকাল থেকে সারাদিন আমরা ফায়ার করলাম এবং ওখান থেকে আমরা একজন ক্যাপ্টেনসহ ১৫-১৬ জন পাক আর্মিকে গ্রেফতার করলাম। দুপুর ২টার দিকে দুটি পাকিস্তানি স্যাবর জেট এবং একটি হেলিকপ্টার আকাশে কয়েকবার চক্কর দিল। তখন তারা নিজেদের অবস্থান জানানোর জন্য আটকেপড়া সৈন্যরা দুটি ভেরি লাইট পিস্তল থেকে আকাশের দিকে গুলি করল। আমাদের কাছে অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট কোনো অস্ত্র ছিল না। ছিল এলএমজি এবং একটা এমএমজি। সেটা দিয়ে তাদের সঙ্গে ফাইট করা আমাদের পক্ষে সম্ভব ছিল না। তবু ৩টা পর্যন্ত যুদ্ধ হলো। ৫টার দিকে আমি আমার ফোর্স নিয়ে হযরতপুর ইউনিয়নের দিকে গেলাম। রাস্তার মাঝখানে আরেকটি সমস্যা তৈরি হলো, গ্রেফতারকৃত সৈন্যরা হাঁটতে চায় না। আস্তে হেঁটে তারা আমাদের মুভমেন্টটাকে স্লো করে দিতে চাচ্ছিল। তখন আমি ক্যাপ্টেনকে বললাম, আমি তো তোমাকে এখন মেরে ফেলব। ক্যাপ্টেন বলল, তুমি তো এখন আমাকে মারবেই। আমি হলেও তোমাকে তাই করতাম। কারণ, আমি তো বন্ধু না। আমরা তো ইচ্ছা করে এখানে যুদ্ধ করতে আসিনি। আমাদের এখানে জোর করে যুদ্ধ করতে পাঠানো হয়েছে। কারণ, আমরা জানি সম্পূর্ণ বৈরী পরিবেশে যুদ্ধ করে আমরা জয়লাভ করতে পারব না। আর নির্বাচনে তোমরা জয়লাভ করেছ। তার সঙ্গে আমার বেশ কিছু কথাবার্তা হয়েছে। আমার পরিচয় পাওয়ার পর অবাক হয়ে সে আমাকে জিজ্ঞেসা করে_ তুমি ঢাকায়? ইয়াহিয়া সরকার না তোমাকে '৭০-এ ফাঁসির আদেশ দিল। তুমি কনভিকটেড। তুমি জেল থেকে পালিয়ে গেছ। তোমাকে তো খোঁজা হচ্ছে। তোমরা মোস্ট ওয়ান্টেডরা যখন ঢাকায় বসে যুদ্ধ করছ, তখন ঢাকা শহর তো আমাদের জন্য নিরাপদ নয়। ঢাকা শহরে ইতিমধ্যেই তখন অনেক অপারেশন হয়ে গেছে। এটা ২৮ তারিখের ঘটনা। ভারতীয় সৈন্যবাহিনী তখনও বাংলাদেশে প্রবেশ করেনি। তারপর চরের কাছে এসে দু'জন ছেলেকে বললাম, এদের মেরে ফেল। তখন ক্যাপ্টেন আমাকে বলল, যেহেতু তুমি এদের নেতা। মারলে তুমিই আমাকে মার। তখন আমি ক্যাপ্টেনকে গুলি করলাম। আর আমার সঙ্গের ছেলে দু'জন বাকি সৈন্যদের মেরে ফেলল। মানুষ মারতে খারাপ লাগে। কিন্তু যখন আমি দেখেছি, আমার মা-বোন ধর্ষিত, আমার চোখের সামনে আমার বাবাকে মেরে ফেলেছে, তখন পাগল হওয়াটাই স্বাভাবিক।
সমকাল : ঢাকায় আপনারা অপারেশন চালাতেন কীভাবে?
মোস্তফা মহসীন মন্টু : এটা অনেক লম্বা ইতিহাস। আসলে কেরানীগঞ্জে যুদ্ধ শুরু হয়েছে কিন্তু ৩ মার্চ, ১৯৭১ থেকে। সেদিন আমরা কেরানীগঞ্জের নেক্রোসবাগে প্রথম ট্রেনিং ক্যাম্প উদ্বোধন করি। সেখানে সুবেদার রফিক নামের বেঙ্গল রেজিমেন্টের একজন অফিসারকে আমরা নিয়ে আসি। তারপর ৯ তারিখে বোরহান উদ্দিন আহমেদ গগনের বাড়ি পলাউসিয়ায় আরেকটি ট্রেনিং ক্যাম্প উদ্বোধন করা হয়। ২৫ মার্চের আগেই নেক্রোসবাগের মাঠে আমি প্রায় ১০০-১৫০ জন ছেলেকে ট্রেনিং দিয়েছি। ৩-৪টি ব্যাচকে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে।
সমকাল : কী ট্রেনিং দেওয়া হতো?
মোস্তফা মহসীন মন্টু : অস্ত্র ট্রেনিং।
সমকাল : তখন আপনাদের কাছে অস্ত্র ছিল?
মোস্তফা মহসীন মন্টু : হ্যাঁ, তখন আমাদের কাছে কিছু অস্ত্র ছিল।
সমকাল : অস্ত্রগুলো আপনারা পেলেন কীভাবে?
মোস্তফা মহসীন মন্টু : ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে যেদিন মতিউর মারা যায়, সেদিন মতিউরের লাশ দেখার জন্য আমাদের ছেলেরা যাচ্ছিল। ছেলেরা পূর্ব পাকিস্তানের তৎকালীন মন্ত্রী সুলতান আহমাদ চৌধুরীর বাড়িতে ঢুকলে নিরাপত্তা রক্ষীরা গুলি করে। তখন তার বাড়িতে ভাংচুর চালানো হয়। আমাদের ছেলেরা তখন পুলিশের অস্ত্রগুলো লুট করে নিয়ে আসে। আমি, কামরুল আলম খসরু অস্ত্রগুলো নিয়ে এসে ইকবাল হলে লুকিয়ে রেখেছিলাম। সেখানে আমাদের ৭-৮টি রাইফেল ছিল। পরে ঢাকা শহরের যেসব সিভিল মানুষের বন্দুক ছিল সেগুলোও আমরা নিয়েছিলাম।
সমকাল : অস্ত্রগুলো নিয়েই কেরানীগঞ্জে গিয়েছিলেন?
মোস্তফা মহসীন মন্টু : বঙ্গবন্ধুর বাড়ি থেকে আমরা রাত সাড়ে ৯টার দিকে বেরিয়ে এলাম। রাত পৌনে ১২টার দিকে ট্যাঙ্ক মুভ করল এবং সে সময় এসএম হলের গম্বুজে একটি শেল পড়ল। তারপর ট্রেসার রাউন্ডের ফায়ার শুরু হলো। তখন ইকবাল হলে আমাদের যেসব অস্ত্র ছিল সেগুলো দুটি গাড়িতে উঠাচ্ছি। যখন হামলা বেড়ে গেল তখন আমরা বুঝলাম আর পালানোর সুযোগ নেই। আমি প্রথম গাড়িতে। পেছনের গাড়িতে আরেকজন। ব্রিটিশ কাউন্সিলের সামনে এবং জগন্নাথ হলের পাশের রাস্তা দিয়ে আমরা সোজা রমনা পার্কের দিকে চলে গেলাম। অনেক ট্যাঙ্ক তখন গড়গড় করে আসছিল। আমাদের গাড়ি লক্ষ্য করে দু'চারটি গুলিও হয়েছে। কিন্তু গুলি ওভারলুক করে আমরা চলে গেলাম। নবাবগঞ্জে গিয়ে বাড়ি থেকে পরিচিত-অপরিচিত লোকজনকে ধরে নিয়ে এসে আমরা বললাম, আমাদের এগুলো পার করে দাও। তারপর সেই অস্ত্রগুলো নৌকায় করে নিয়ে আমরা নেক্রোসবাগে আসি। এগুলো করতে করতে প্রায় ৩টা-সাড়ে ৩টা বেজে গেল। ঢাকা শহর তখন দাউদাউ করে জ্বলছে। ভাবলাম, যুদ্ধ করার জন্য আমাদের আরও অনেক অস্ত্র প্রয়োজন। তখন আমরা কেরানীগঞ্জ থানার অস্ত্র লুট করার পরিকল্পনা করলাম। থানার কাছে আমার কিছু বন্ধু-বান্ধব ছিল। তাদের সহায়তায় আমরা থানা ঘেরাও করি। সকাল ৬টার দিকে আমরা থানা আক্রমণ করি। সে সময় ওখানকার ওসি তার বাড়ি থেকে দৌড়ে এসে আমাদের চাবি দিলেন। তালা খুলে আমরা থানার সব অস্ত্র নিজেদের কাছে নিয়ে নিই। সকাল ৬টায় থানার যেখানে পাকিস্তানি পতাকা ওড়ানো হতো, সেখানে আমরা বাংলাদেশের পতাকা ওড়াই। আমাদের কয়েকজন ছেলে দাঁড়িয়ে সেখানে জাতীয় সঙ্গীতও গায়। এ অস্ত্রগুলোসহ আমরা কেরানীগঞ্জের নেক্রোসবাদে আসি।
সমকাল : ঢাকার ভেতরে অপারেশন করেছেন?
মোস্তফা মহসীন মন্টু : রমনা মাঠে এবং ঢাকা ক্লাবে পাকিস্তানিদের ক্যাম্প ছিল। সেখানে আমাদের ছেলেরা অপারেশন চালিয়েছে। এছাড় গ্রীন রোড, নিউ মার্কেট এবং যাত্রাবাড়ীতেও আমাদের ছেলেরা অপারেশন চালিয়েছে।
সমকাল : অপারেশন চালাতে গিয়ে বিশেষ অভিজ্ঞতার কথা কি আপনার মনে পড়ে?
মোস্তফা মহসীন মন্টু : একবার অপারেশন চালাতে গিয়ে আমাদের দু'জন ছেলে গ্রেফতার হয়। পাক হানাদাররা তাদের ওপর নিদারুণ নির্যাতন চালায়। গায়ে গরম পানি ঢেলে দেওয়ায় তাদের সমস্ত গায়ে ফোস্কা পড়ে গিয়েছিল। পরে আমরা রাজাকারদের ২০ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে তাদের ছাড়িয়ে এনেছিলাম।
সমকাল : ২নং সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে আপনাদের যোগাযোগ হতো কীভাবে?
মোস্তফা মহসীন মন্টু : ২নং সেক্টরের যোদ্ধাদের সঙ্গে আমরা একসঙ্গে অপারেশন পরিচালনা করতাম। আমাদের কোনো বিভেদ-বিভাজন ছিল না। যে কোনো অপারেশন হলে সবাই একযোগে ঝাঁপিয়ে পড়তাম।
সমকাল : নভেম্বর নাগাদ মুক্তিযোদ্ধারা পুরো ঢাকা ঘিরে ফেলেছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে কি ঢাকা দখল করা সম্ভব ছিল?
মোস্তফা মহসীন মন্টু : আমাদের হাইকমান্ড থেকে নিষেধ করা হয়েছিল। সে কারণে আমরা দখল করার উদ্দেশ্যে বড় অপারেশন চালাইনি ঢাকায়। আমাদের বলা হয়েছিল, শক্তি বৃদ্ধি করে শক্ত প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে। যুদ্ধ এত তাড়াতাড়ি শেষ হবে এটা আমাদের কল্পনার বাইরে ছিল। অন্য দেশগুলোর ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি, স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করতে হয় বছরের পর বছর। ১০-২০ বছরেও একটা বিজয় আসে না। আমরাও মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম যে, আমরা স্বাধীনতা দেখে যাব না। হয়তো আমাদের পরের প্রজন্ম স্বাধীন দেশ পাবে।

No comments:

Post a Comment