সম্পাদকীয়, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, ১৪ জানুয়ারি ২০১২, শনিবার
দিল্লির একটি নিম্ন আদালতের রায়ের পর দিল্লি হাইকোর্টের শরণাপন্ন হলে আদালত ফেসবুক ও গুগলসহ ২১ কোম্পানির কর্মকর্তাদের এই মর্মে হুশিয়ারি দিয়েছেন যে, 'আপত্তিকর' উপাদান না সরালে সাইটগুলো একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হবে। বিচারক সুরেশ কাইতের ভাষায় : 'আপনাদের তদারকি ব্যবস্থায় কড়াকড়ি আনতে হবে। নয়তো, চীনের মতো আমরাও এ ধরনের সব ওয়েবসাইট বন্ধ করার আদেশ দেব।' সরকারকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তারা এই ধরনের মামলা (যার অনেক অভিযোগই জামিন অযোগ্য) চালানোর প্রয়োজনীয়তা বোধ করে কি-না। সরকার মামলায় সম্মতি দিয়েছে। আইটি ও এইচআরডিমন্ত্রী কপিল সিবাল সামাজিক মাধ্যমের 'আপত্তিকর' উপাদানের উলেল্গখ করে ভারতের সামাজিক অবস্থানের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ উপাদান সরিয়ে ফেলার ঘোষণা দেওয়ার মাসখানেক পর এমন ঘটনা ঘটল।
ওয়েবের কার্যপদ্ধতি সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণার অভাবেই সামাজিক মাধ্যম সম্পর্কে সাম্প্রতিক আলোচনার উদ্ভব ঘটেছে। পেশাদার সংবাদপত্র ও সম্প্রচার মাধ্যমের মতো নয়, বরং গুগল, ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদি পোস্ট অফিসের মতো মধ্যবর্তী অনুঘটক হিসেবে কাজ করে। তারা সরল অর্থে কোটি মানুষের জন্য এমন একটি পল্গাটফর্ম তৈরি করে যেখানে লোকেরা পরস্পরের মধ্যে কথা বলতে পারে। সামাজিক মাধ্যম সরলার্থে আমাদের ধ্যান-ধারণার প্রকাশ ঘটায়, এর মাধ্যমে যেমন ঘৃণার বাক্য ও পর্নো এবং ধর্মবিদ্বেষ ছড়ানো সম্ভব তেমনি উদ্দীপনামূলক কথা ও শুভেচ্ছাবাণীও বিনিময় করা যায়। ব্যবহারকারীরা যদি কোনো উপাদানকে সমস্যাজনক মনে করে অভিযোগ দাখিল না করেন তবে নিজে থেকে সাইটগুলো সব কথোপকথন মডারেশন করতে পারে না_ অপরাধীকে শনাক্ত করে শাস্তিও দিতে পারে না। বলার অপেক্ষা রাখে না, যুগপৎভাবে স্বাধীন মতপ্রকাশকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে আপত্তিকর উপাদানগুলোকে চিহ্নিত করা যায় না_ এ বিষয়ে সল বেলোর সেই উক্তিটি স্মরণীয়, যেখানে তিনি বলেছেন, 'দমননীতির চূড়ান্ত বা যথাযথ অবস্থা বলে কিছু নেই_ কেউ যদি কানকে দমন করতে যায় তবে আবশ্যিকভাবে মাথাটিও দমিত হবে।'
এটা সত্য যে, অনলাইন বা অফলাইন যেখানেই ঘটুক_ সহিংসতার উস্কানি বা অপরাধে মদদের ঘটনা ঘটলে এর আইনি পরিণতি থাকে। কিন্তু গভীর উদ্বেগের বিষয় যে, আমাদের স্বাধীন আদালত এবং গণতান্ত্রিক সরকার এ বিষয়ে চীনের সমকক্ষ হওয়াকে গর্বের বিষয় মনে করে। চীন সরকার আইএসপি ও কনটেন্ট প্রোভাইডারদের অনলাইন উপাদান তদারক করতে বাধ্য করেছে, 'সাইবার ভিন্নমতাবলম্বীদের' কারারুদ্ধ করেছে, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের এই বার্তা দিয়েছে যে, তারা তদারকি ও শাস্তির আওতায় আছে। তারপরও তাদের প্রক্সি সার্ভার, বিকল্প পদ্ধতি ও একই ধরনের চীনা ওয়েবসাইটগুলোর সঙ্গে লড়তে হচ্ছে। ওয়েবে সেন্সর আরোপের যে প্রযুক্তিগত বাধা আছে তার বাইরেও ভারত অপরিহার্যভাবে পরিপকস্ফ গণতন্ত্রের অধিকারী। ভারতের উচিত ওয়েব নিয়ন্ত্রণের জন্য এ ধরনের অভিপ্রায় প্রত্যাখ্যান করা, কেননা ভারত চীন নয়।
দিল্লির একটি নিম্ন আদালতের রায়ের পর দিল্লি হাইকোর্টের শরণাপন্ন হলে আদালত ফেসবুক ও গুগলসহ ২১ কোম্পানির কর্মকর্তাদের এই মর্মে হুশিয়ারি দিয়েছেন যে, 'আপত্তিকর' উপাদান না সরালে সাইটগুলো একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হবে। বিচারক সুরেশ কাইতের ভাষায় : 'আপনাদের তদারকি ব্যবস্থায় কড়াকড়ি আনতে হবে। নয়তো, চীনের মতো আমরাও এ ধরনের সব ওয়েবসাইট বন্ধ করার আদেশ দেব।' সরকারকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তারা এই ধরনের মামলা (যার অনেক অভিযোগই জামিন অযোগ্য) চালানোর প্রয়োজনীয়তা বোধ করে কি-না। সরকার মামলায় সম্মতি দিয়েছে। আইটি ও এইচআরডিমন্ত্রী কপিল সিবাল সামাজিক মাধ্যমের 'আপত্তিকর' উপাদানের উলেল্গখ করে ভারতের সামাজিক অবস্থানের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ উপাদান সরিয়ে ফেলার ঘোষণা দেওয়ার মাসখানেক পর এমন ঘটনা ঘটল।
ওয়েবের কার্যপদ্ধতি সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণার অভাবেই সামাজিক মাধ্যম সম্পর্কে সাম্প্রতিক আলোচনার উদ্ভব ঘটেছে। পেশাদার সংবাদপত্র ও সম্প্রচার মাধ্যমের মতো নয়, বরং গুগল, ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদি পোস্ট অফিসের মতো মধ্যবর্তী অনুঘটক হিসেবে কাজ করে। তারা সরল অর্থে কোটি মানুষের জন্য এমন একটি পল্গাটফর্ম তৈরি করে যেখানে লোকেরা পরস্পরের মধ্যে কথা বলতে পারে। সামাজিক মাধ্যম সরলার্থে আমাদের ধ্যান-ধারণার প্রকাশ ঘটায়, এর মাধ্যমে যেমন ঘৃণার বাক্য ও পর্নো এবং ধর্মবিদ্বেষ ছড়ানো সম্ভব তেমনি উদ্দীপনামূলক কথা ও শুভেচ্ছাবাণীও বিনিময় করা যায়। ব্যবহারকারীরা যদি কোনো উপাদানকে সমস্যাজনক মনে করে অভিযোগ দাখিল না করেন তবে নিজে থেকে সাইটগুলো সব কথোপকথন মডারেশন করতে পারে না_ অপরাধীকে শনাক্ত করে শাস্তিও দিতে পারে না। বলার অপেক্ষা রাখে না, যুগপৎভাবে স্বাধীন মতপ্রকাশকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে আপত্তিকর উপাদানগুলোকে চিহ্নিত করা যায় না_ এ বিষয়ে সল বেলোর সেই উক্তিটি স্মরণীয়, যেখানে তিনি বলেছেন, 'দমননীতির চূড়ান্ত বা যথাযথ অবস্থা বলে কিছু নেই_ কেউ যদি কানকে দমন করতে যায় তবে আবশ্যিকভাবে মাথাটিও দমিত হবে।'
এটা সত্য যে, অনলাইন বা অফলাইন যেখানেই ঘটুক_ সহিংসতার উস্কানি বা অপরাধে মদদের ঘটনা ঘটলে এর আইনি পরিণতি থাকে। কিন্তু গভীর উদ্বেগের বিষয় যে, আমাদের স্বাধীন আদালত এবং গণতান্ত্রিক সরকার এ বিষয়ে চীনের সমকক্ষ হওয়াকে গর্বের বিষয় মনে করে। চীন সরকার আইএসপি ও কনটেন্ট প্রোভাইডারদের অনলাইন উপাদান তদারক করতে বাধ্য করেছে, 'সাইবার ভিন্নমতাবলম্বীদের' কারারুদ্ধ করেছে, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের এই বার্তা দিয়েছে যে, তারা তদারকি ও শাস্তির আওতায় আছে। তারপরও তাদের প্রক্সি সার্ভার, বিকল্প পদ্ধতি ও একই ধরনের চীনা ওয়েবসাইটগুলোর সঙ্গে লড়তে হচ্ছে। ওয়েবে সেন্সর আরোপের যে প্রযুক্তিগত বাধা আছে তার বাইরেও ভারত অপরিহার্যভাবে পরিপকস্ফ গণতন্ত্রের অধিকারী। ভারতের উচিত ওয়েব নিয়ন্ত্রণের জন্য এ ধরনের অভিপ্রায় প্রত্যাখ্যান করা, কেননা ভারত চীন নয়।
No comments:
Post a Comment