'দেহ'
শব্দটি আমাদের ভাষায় কিছুটা মরমি আবহ সঙ্গে নিয়ে উচ্চারিত হয়। আমাদের
দর্শনের ইতিহাসে দেহতত্ত্ব বলে এক গভীর ও তাৎপর্যপূর্ণ অধ্যায় আছে। আমাদের
কবিরা দেহ
বিষয়টিকে রূপক, প্রতীক, উপমা ও উৎপ্রেক্ষার অন্তরালে বর্ণনা করেছেন। কবি-দার্শনিকের কাছে দেহ কখনো রূপকাঠের নৌকা, কখনো যন্ত্র, কখনো মেশিন, কখনো বা খেলার মাঠ। দেহ শব্দটিকে আড়াল করতে গিয়ে যত রূপকের ব্যবহার হয়েছে তা বোধহয় অনেক ক্ষেত্রেই ঘটেনি।
‘দেহ’ নিয়ে এই দর্শন ও কবিতার উত্তরাধিকার আমাদের চেতনে যেমন অবচেতনেও তেমনি ক্রিয়া করে। একে অস্বীকার করার উপায় কোথায়? কিন্তু এই রূপকের দেহের বাইরে এক পার্থিব দেহ নিয়েও আমাদের চলতে হয়। এ দেহ আমরা ধারণ করি, এ দেহ আমরা পালন করি, এ দেহ আমরা ত্যাগ করি। এ দেহের সাহায্যে আমাদের সঙ্গে অপর মানুষের এবং বস্তু পৃথিবীর সম্পর্ক তৈরি হয়। এ দেহের কথাও আমাদের কবিরা বলে গেছেন। রচনা করেছেন আখ্যান। আমাদের কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গানে গানে যে দেহের কথা বলেছেন, সে দেহ কখনো রূপকের, রূপকাঠের, কখনো বা দুনিয়াবি শরীর। কাব্য অনেক সময়ই খোলাসা করে না, কী নিয়ে সে বলছে। কিন্তু গদ্যের জগতে খোলাসা না করে উপায় নেই। আমাদের ফিকশনের জগতে দেহ খানিকটা আড়ষ্ঠ, খানিকটা ইতস্তত-ভিক্টরীয় নৈতিকতায় আচ্ছন্ন। তবুও তো মানুষ বলছে, গল্প রচিত হচ্ছে। রচিত হচ্ছে শরীরের আখ্যান, দেহের ভাষ্য। দেহই আমাদের ক্ষুধা, নিদ্রা, নিরাপত্তা, বসবাস ও জৈবিকতার আধার। ফলে, ‘দেহ’ আমার বইয়ের নাম। গত ১০ বছরে বিভিন্ন সময় লেখা গল্পগুলো থেকে বেছে নেওয়া গল্পগুলো এতে গ্রন্থিত হয়েছে।
দেহ-নাম, বিষয়-সম্পর্ক। আমাদের যাপনের মধ্যে মানবিক সম্পর্কগুলো কদর্যতা ও মাধুর্য, আমাদের নাগরিক জীবনের সংশয়-সন্দেহ, অতিসাম্প্রতিক বোধ ও মূল্যবোধগুলোকে পর্যবেক্ষণ করার সামান্য চেষ্টা এ বইয়ে থাকতে পারে। লেখক হিসেবে এর বেশি দাবি আমার নেই।
‘দেহ’ আমার দ্বিতীয় গল্পের বই। প্রথম বইটি ২০০৬ সালে প্রকাশিত হয়েছিল কাগজ প্রকাশনী থেকে। ২০১০ সালে একটি উপন্যাস ছেপেছিল ভাষাচিত্র প্রকাশনী। ‘দেহ’ প্রকাশ করেছে ঐতিহ্য প্রকাশনী। বইটি মেলায় এসেছে ৫ ফেব্র“য়ারি। দাম ১৫০ টাকা। বইটি উৎসর্গ করেছি আমার ছেলে নিভৃত অনুরণনকে। সন্তানের বেড়ে ওঠার প্রক্রিয়ায় আমি লক্ষ করেছি, পোশাক নয়-যাকে আমরা আদিম বলি সেই শরীরেই আসলে আমরা নির্মাণ করি সভ্যতা। শরীরের বেড়ে ওঠার সঙ্গে বেড়ে ওঠে সভ্যতাও।কালের কণ্ঠে প্রকাশিত
বিষয়টিকে রূপক, প্রতীক, উপমা ও উৎপ্রেক্ষার অন্তরালে বর্ণনা করেছেন। কবি-দার্শনিকের কাছে দেহ কখনো রূপকাঠের নৌকা, কখনো যন্ত্র, কখনো মেশিন, কখনো বা খেলার মাঠ। দেহ শব্দটিকে আড়াল করতে গিয়ে যত রূপকের ব্যবহার হয়েছে তা বোধহয় অনেক ক্ষেত্রেই ঘটেনি।
‘দেহ’ নিয়ে এই দর্শন ও কবিতার উত্তরাধিকার আমাদের চেতনে যেমন অবচেতনেও তেমনি ক্রিয়া করে। একে অস্বীকার করার উপায় কোথায়? কিন্তু এই রূপকের দেহের বাইরে এক পার্থিব দেহ নিয়েও আমাদের চলতে হয়। এ দেহ আমরা ধারণ করি, এ দেহ আমরা পালন করি, এ দেহ আমরা ত্যাগ করি। এ দেহের সাহায্যে আমাদের সঙ্গে অপর মানুষের এবং বস্তু পৃথিবীর সম্পর্ক তৈরি হয়। এ দেহের কথাও আমাদের কবিরা বলে গেছেন। রচনা করেছেন আখ্যান। আমাদের কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গানে গানে যে দেহের কথা বলেছেন, সে দেহ কখনো রূপকের, রূপকাঠের, কখনো বা দুনিয়াবি শরীর। কাব্য অনেক সময়ই খোলাসা করে না, কী নিয়ে সে বলছে। কিন্তু গদ্যের জগতে খোলাসা না করে উপায় নেই। আমাদের ফিকশনের জগতে দেহ খানিকটা আড়ষ্ঠ, খানিকটা ইতস্তত-ভিক্টরীয় নৈতিকতায় আচ্ছন্ন। তবুও তো মানুষ বলছে, গল্প রচিত হচ্ছে। রচিত হচ্ছে শরীরের আখ্যান, দেহের ভাষ্য। দেহই আমাদের ক্ষুধা, নিদ্রা, নিরাপত্তা, বসবাস ও জৈবিকতার আধার। ফলে, ‘দেহ’ আমার বইয়ের নাম। গত ১০ বছরে বিভিন্ন সময় লেখা গল্পগুলো থেকে বেছে নেওয়া গল্পগুলো এতে গ্রন্থিত হয়েছে।
দেহ-নাম, বিষয়-সম্পর্ক। আমাদের যাপনের মধ্যে মানবিক সম্পর্কগুলো কদর্যতা ও মাধুর্য, আমাদের নাগরিক জীবনের সংশয়-সন্দেহ, অতিসাম্প্রতিক বোধ ও মূল্যবোধগুলোকে পর্যবেক্ষণ করার সামান্য চেষ্টা এ বইয়ে থাকতে পারে। লেখক হিসেবে এর বেশি দাবি আমার নেই।
‘দেহ’ আমার দ্বিতীয় গল্পের বই। প্রথম বইটি ২০০৬ সালে প্রকাশিত হয়েছিল কাগজ প্রকাশনী থেকে। ২০১০ সালে একটি উপন্যাস ছেপেছিল ভাষাচিত্র প্রকাশনী। ‘দেহ’ প্রকাশ করেছে ঐতিহ্য প্রকাশনী। বইটি মেলায় এসেছে ৫ ফেব্র“য়ারি। দাম ১৫০ টাকা। বইটি উৎসর্গ করেছি আমার ছেলে নিভৃত অনুরণনকে। সন্তানের বেড়ে ওঠার প্রক্রিয়ায় আমি লক্ষ করেছি, পোশাক নয়-যাকে আমরা আদিম বলি সেই শরীরেই আসলে আমরা নির্মাণ করি সভ্যতা। শরীরের বেড়ে ওঠার সঙ্গে বেড়ে ওঠে সভ্যতাও।কালের কণ্ঠে প্রকাশিত
No comments:
Post a Comment