চারদিকে কত খুনোখুনি, কত রক্তপাত_ তোলপাড় করা নানা হত্যাকাণ্ড। কিন্তু সেসব
নিয়ে যেন কারও ভ্রূক্ষেপ নেই। গোটা ভারত গতকাল মগ্ন ছিল একটা চড় নিয়ে।
পশ্চিমবঙ্গের জঙ্গলে মাওবাদী নেতা কিশেনজি নিহত হলেন। বৃহস্পতিবারের ঘটনা
হলেও সে নিয়ে খুব বেশি কথাবার্তা ছিল না সংবাদমাধ্যমগুলোতে। কিশেনজির
মৃত্যুর খবর গুরুত্ব দিয়ে ছাপা হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু লোকের মুখে মুখে ফিরছিল
সামান্য এক চড়ের ঘটনা। কে, কাকে চড় মেরেছে? টেম্পোচালক হরবিন্দর সিং চড়
মেরেছিলেন কৃষিমন্ত্রী শারদ পাওয়ারকে। কেন মেরেছেন? মন্ত্রী বা ভিআইপিদের
ওপর হামলা হলে ধরেই নেওয়া হয় যে, তাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই তা হয়েছে। নাশকতা
সৃষ্টির উদ্দেশ্যে হামলা। কিন্তু টিভিগুলোর লাইভ প্রচারের দৌরাত্ম্যে দেখা
গেল হত্যা বা মারাত্মক আহত করার উদ্দেশ্য হরবিন্দরের ছিল না। ছোট একটি
চাকু হাতে থাকলেও তা ব্যবহার করেননি হরবিন্দর। বরং একটি চড় মেরেই রাগ
প্রকাশ করেছেন। চড়টি মারার পর খোদ হরবিন্দরই শারদ পাওয়ারের
নিরাপত্তারক্ষীদের প্রচণ্ড কিল-ঘুষির শিকার হয়েছেন। বেদম চড়চাপড় খেয়েছেন।
মজার ব্যাপার, ঢিলটি সংবাদমাধ্যমে গুরুত্ব পেলেও পাটকেলটি কিন্তু গুরুত্ব
পায়নি। সবাই গুনে বলতে পারছেন, শারদ পাওয়ার একটি চড় খেয়েছেন। কিন্তু বদলে
হরবিন্দর কতটি চড় খেয়েছেন সেটি কিন্তু কেউ গোনার প্রয়োজন মনে করছে না। তবে
একটি চড়ই পুরো ভারতকে মাতিয়েছে। অনেকেই বিষয়টি নিয়ে রস করেছেন। রস করতে
গিয়ে দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনের নেতা আন্না হাজারে তো বেফাঁস এক মন্তব্যই
করে বসেছেন। চড়ের সংবাদ শুনে তিনি বলে বসেছেন, 'এক হি মারা কেয়া?' তিনি
জানতে চেয়েছিলেন, চড় কি একটাই মেরেছিল কি-না। পরে অবশ্য সমালোচনা হওয়ায়
তিনি দায়িত্বশীল বক্তব্য দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, 'সকালে একজন আমাকে খবরটা
দেওয়ার পর আমি জানতে চেয়েছিলাম একটাই চড় মেরেছিল কি-না। সেটাকেই
ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে। যিনি চড় মেরেছিলেন তিনি হয়তো রাগান্বিত
ছিলেন। রাগ ভালো জিনিস নয়। সংবিধান সহিংসতা সমর্থন করে না।' শারদ পাওয়ার
চড় খেয়েছেন শুনে আন্না হাজারে হয়তো সত্যিই জানতে চেয়েছিলেন চড় কতটি পড়েছে?
কিন্তু ভারতের অনেক আম আদমি এতে খুশি হয়েছে। দ্রব্যমূল্য বল্গাহারা গতিতে
চড়ছে। নিম্ন ও মধ্যবিত্তের ত্রাহি রব চারদিকে। মানুষ কতটা অসহায় তার পুরো
সংবাদ গণমাধ্যমে আসে না। আসলে সে সংবাদের নানা মাত্রা থাকে। হরবিন্দর
সিংয়ের পকেটের হিসাব মিলছে না কিন্তু বাজারের নীতি, প্রবৃদ্ধি, ভর্তুকি
নানা হিসাবে শেষ পর্যন্ত হরবিন্দরদের পকেটের হিসাব হারিয়ে যায়। তো হরবিন্দর
ঠিক করেছেন, খবরটা জানানো দরকার আলাদা করে। আর সে কারণেই বাসা থেকে
বেরিয়েছেন মন্ত্রীকে চড় কষাবেন বলে। ঝাঁকের মধ্যে মিশে গিয়ে সুযোগের
অপেক্ষায় বসে থেকেছেন। সুযোগ পেয়ে মেরে দিয়েছেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো,
মন্ত্রীকে এভাবে অপমান করা ঠিক নয়। আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। সংবিধানও এটা
সমর্থন করে না। কিন্তু এর তো একটা বার্তাও আছে। হরবিন্দর যে বার্তাটা
পেঁৗছে দিতে চাইলেন তার সমাধান না করে যদি তাকে আলাদা করে শাস্তি দেওয়া হয়
তবে সেটি কেমন হবে? ভারতীয় মিডিয়াগুলোতে এ প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বোঝা
যাচ্ছে, হরবিন্দর এখন নায়ক। অনেকেই স্মরণ করছেন জর্জ বুশের দিকে জুতা ছুড়ে
মারা সেই ইরাকি সাংবাদিকের কথা। সে ঘটনাটিকে ঐতিহাসিক আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
গুণে-মানে হয়তো এটি অনেক ছোট। কিন্তু হরবিন্দরের নাম অনেকেই যে মনে রাখতে
চেষ্টা করবেন, তা নিশ্চিত।
Saturday, November 26, 2011
Saturday, November 12, 2011
কিঁউ কি সাস ভি কাভি বহু থি
কিঁউ কি সাস ভি কাভি বহু থি'_ এই হিন্দি বাক্যটির অর্থ 'কেননা শাশুড়িও
কোনো এক সময় বউ ছিলেন।' হিন্দি এই বাক্যটি রীতিমতো একটি বাগ্ধারায় পরিণত
হয়েছে একটি টিভি সিরিয়ালের কল্যাণে। সিরিয়ালের নাম 'কিঁউ কি সাস ভি কাভি
বহু থি'। স্টার প্লাসে প্রচারিত অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে সর্বকালের সেরা দশটি
অনুষ্ঠানের প্রথমটি এই সিরিয়াল। শুধু তাই নয়, এশিয়ার সবচেয়ে বেশি দেখা ও
সবচেয়ে বেশি পুরস্কার পাওয়া সোপ অপেরাও এটি। হিন্দি ভাষায় প্রচারিত এই
সিরিয়ালটি প্রযোজনা করেছিল একতা কাপুর ও শোভা কাপুরের বালাজি টেলিফিল্মস।
২০০০-০৮ পর্যন্ত ৮ বছরে এর এক হাজার ৮৩০টি পর্ব প্রচারিত হয়েছিল। পর্বগুলো
পরিচালনা করেছেন ২০ জনেরও বেশি পরিচালক। সিরিয়ালটিতে একটি পরিবারের পাঁচ
প্রজন্মের ইতিহাস দেখানো হয়েছে। গৃহবিবাদ, গৃহদাহ ও গৃহদুর্ঘটই এই
সিরিয়ালের বিষয়। তবে মূল থিম অবশ্যই বউ-শাশুড়ি সম্পর্ক। সত্য যে,
উপমহাদেশের পিতৃতান্ত্রিক সমাজে প্রত্যেক শাশুড়িই একদিন নববধূ হিসেবে
স্বামীর ঘরে আসেন। শাশুড়ির সঙ্গ পান, তার কাছে সংসারের প্রয়োজনীয় দীক্ষাও
নেন। আবার গৃহের কর্তৃত্ব নিয়ে শাশুড়ির সঙ্গে বউয়ের দ্বন্দ্ব-সংঘাতের
কাহিনীও আছে। এসব দ্বন্দ্ব-সংঘাতের মধ্য দিয়ে একদিন নববধূও শাশুড়ি হন।
উপমহাদেশের নারীদের এই রূপান্তর বহু বছর ধরে চলছে। দায়িত্বের বণ্টনও নতুন
কিছু নয়। তারপরও পরিবারগুলোতে বউ-শাশুড়ির দ্বন্দ্ব খুব আলোচিত বিষয়। আলোচিত
শুধু নয়, রীতিমতো চাঞ্চল্যকর ঘটনা। এ এমনই চাঞ্চল্যকর যে, এ নিয়ে
নাটক-সিনেমা হলে তা জনপ্রিয় হবেই এটা নিশ্চিত করে বলে দেওয়া যায়। কিঁউ কি
সাস ভির সাফল্যের পেছনে খুব গূঢ় রহস্য খোঁজার দরকার নেই বলেই মনে হয়।
ভারতের মতো বাংলাদেশেও গৃহবধূরা প্রতি সন্ধ্যায় পরম আগ্রহে স্টার খুলে
বসেছেন সোপ অপেরাটি দেখার জন্য। শাশুড়িরা যেমন গৃহবধূরাও তেমন নিজেদের
পছন্দের বিষয়টি সেখানে পেয়েছেন। শুধু এই সিরিয়াল নয়, বহু হিন্দি সিরিয়ালের
সাফল্যের মূল সূত্রও ওই গৃহবিবাদ। কেউ কেউ বলেন, হিন্দি সিরিয়ালের গৃহবিবাদ
আমাদের দেশে গৃহবিবাদকে উস্কে দিচ্ছে। সরাসরি হয়তো দোষ দেওয়া যাবে না
এভাবে। কিন্তু পরোক্ষে হলেও কিছু প্রভাব তো পড়ছে। ঈদের বাজারে গেলে মেয়েদের
পোশাক-আশাক যত দেখা যায় তার বেশিরভাগই হিন্দি সিরিয়াল বা সিনেমা প্রভাবিত।
শুধু মেয়েদের পোশাক কেন? ছেলেদের অজস্র পোশাক বাজারজাত হচ্ছে যা শুধু
হিন্দি সিরিয়ালের চরিত্রদেরই পরতে দেখা যায়। সিরিয়ালগুলোতে যেমন দু'দিন
পরপর আনন্দ-আয়োজন লেগে থাকে, তাতে সেখানকার চরিত্রদের নানা রকম শেরওয়ানি,
পাঞ্জাবি, দোপাট্টা, চুড়িদার পরতে হয় বটে। কিন্তু সিরিয়াল দেখে যারা পোশাক
কেনেন তাদের হয়তো বছরে এক-দু'বারই সেগুলো পরার অবকাশ জোটে। হিন্দি
সিরিয়ালের প্রভাব কতটা পড়ছে আমাদের সমাজে তা আলোচনার বিষয় নয়। বিষয়
বউ-শাশুড়ি সম্পর্কই। ভেবেছিলাম, শুধু সিরিয়ালের নামটি বলে প্রসঙ্গে আসব।
কিন্তু বউ-শাশুড়ি সম্পর্ক আর হিন্দি সিরিয়াল যেমন অবিচ্ছেদ্য সম্পর্কে
জড়িয়ে আছে তাতে আলাপের একটু বিস্তার না করলে কি চলে? ঘটনা জয়পুরহাট জেলার
ক্ষেতলাল উপজেলার। সেখানে শাখারগঞ্জ-চৌধুরীপাড়ায় এক অভিনব আয়োজন হয়েছে
সম্প্রতি। সেখানে বউ-শাশুড়ির মেলা হয়েছে। এলাকার গৃহবধূ ও শাশুড়িরা মেলা
করেছেন। হৈ-হল্লা করে সময় কাটিয়েছেন। কিন্তু অভিনব এ আয়োজন অনেককে আকৃষ্ট
করেছে। হাজারো মানুষ মেলা দেখতে এসেছেন। হঠাৎ করে বউ-শাশুড়ি মেলার কারণ কী?
হয়তো ঈদের সাইড এফেক্ট। শহর থেকে লোকেরা ঘরে ফিরেছে। এ অবকাশে ভিন্নধর্মী এ
আয়োজনের আইডিয়া খেলে গেছে কারও মনে। কিন্তু এমন মেলা সত্যিকার অর্থেই
ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে পরিবারগুলোতে। বউ-শাশুড়ি সংঘাত পরিবারগুলোতে যে
গৃহদাহ তৈরি করে তাতে এ মেলাগুলো আলাপ-আলোচনার খোলামেলা পরিবেশ তৈরি করতে
পারে। আর ওই বাগ্ধারাটিও কিন্তু ফেলনা নয়। কিঁউ কি সাস ভি কাভি বহু থি।
শাশুড়িও একদিন বউ ছিলেন_ এটি যেমন সত্য তেমনি এও সত্য যে, বউও একদিন শাশুড়ি
হতে পারেন। ফলে মিলেমিশে থাকাটাই শ্রেয়।
হতে পারেন। ফলে মিলেমিশে থাকাটাই শ্রেয়।
Friday, November 11, 2011
১১/১১/১১
বাংলা ক্যালেন্ডার অনুসারে আজ কার্তিকের ২৭। সন ১৪১৮। অতীতের হাজারো
কার্তিকের মতো এ কার্তিকেরও বিশেষত্ব নেই। বিশেষত্ব একেবারেই নেই তা নয়_
সাম্প্রতিক তীব্র তাপদাহের পর আবহাওয়া এখন অনেকটাই সহনীয়। কার্তিকের
নবান্নের দেশে এখন শীতের আমেজ। গ্রামে ইতিমধ্যে শীত পড়ে গেছে। কার্বনপ্রবণ
উষ্ণ শহুরে এলাকাগুলোতেও এখন হিমেল উত্তুরে হাওয়ার রেশ। সংখ্যাতত্ত্বের দিক
থেকে ২৭ কার্তিক ১৪১৮'র বিশেষ গুরুত্ব থাকার কথা নয়। বাঙালির জীবনে
গ্রহ-নক্ষত্রের প্রভাব গণনা, কুষ্ঠি বিচার, মঙ্গল-অমঙ্গল নির্ধারণ এখনও
বাংলা ক্যালেন্ডার অনুসারেই হয়। তবে বাংলা ক্যালেন্ডারের দাপট এখন সীমিত
পর্যায়ে। জীবনের বড় জায়গাজুড়ে এখন গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের দাপট। এ
ক্যালেন্ডারের ভালো-মন্দ, গ্রহ-নক্ষত্র এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনেরই অংশ।
কেউ কেউ মনে করেন, গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে ২০১২ সালে পৃথিবী ধ্বংস
হবে। অগ্ন্যুৎপাত, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, আগ্নেয়গিরি, ঝঞ্ঝা পৃথিবীতে আকুল করে
তুলে শেষ পর্যন্ত ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে যাবে। এ নিয়ে বই লেখা হয়েছে,
সিনেমাও তৈরি হয়েছে। আমাদের দেশেও কেউ কেউ এ বিশ্বাস পোষণ করছেন। এ
ক্যালেন্ডারের সংখ্যাতত্ত্ব এখন অনেক মানুষের বিশ্বাসের ওপর প্রভাব বিস্তার
করেছে। যেমন ঘটেছে ২০১১ সালের ৩১৫তম দিনটিকে নিয়ে। বছর শেষ হতে বাকি মাত্র
৫০ দিন। অর্থাৎ পৃথিবী ধ্বংসের বহুল প্রচারিত বছরটি এখনও খানিক দূরে।
কিন্তু ১১/১১/১১-তে এসে বিশ্বব্যাপী গোল বেধেছে। সারা পৃথিবীতে দিনটি নিয়ে
নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। জল্পনার ঢেউ এসে লেগেছে আমাদের দেশেও। কোনো
কোনো ভবিষ্যদ্বাণী বলছে, ২০১২ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না_ ১১/১১/১১
অর্থাৎ আজকেই পৃথিবীর শেষ দিন। শুক্রবার হওয়ায় এ আশঙ্কা অনেকটাই বেড়ে গেছে।
অবশ্য পৃথিবী ধ্বংসের মতটা তত প্রচার পায়নি। গুরুত্ব হয়েছে বেশ কিছু
ইতিবাচক ব্যাপার। ১১ সংখ্যাটি বহু মানুষের কাছে সৌভাগ্যের সূচক। আর আজ তো
ক্যালেন্ডারে ১১'র আধিপত্য। পুরো ১০০ বছর পর এমন এগারোময় দিন এলো। ১৯১১
সালে এমনকি ১৮১১ সালেও এমন দিন এসেছিল। আগামী ১০০ বছর পরপর এমন দিন আসতেই
থাকবে। কিন্তু মানুষের জীবনের জন্য ১০০ বছর এখনও লম্বা সময়। তাই অনেকের
ভাগ্যেই তিনটা ১১ দেখার ভাগ্য হয় না। যাদের হয়েছে তারা দিনটিকে স্মরণীয় করে
রাখতে চাইছেন। সৌভাগ্যের দিন হিসেবে অনেকে চাইছেন এ দিনে বিয়ে করতে।
গর্ভবতীরা মা হতে চাইছেন এ দিনটিতে। পৃথিবীর অনেক স্থানে রীতিমতো বিয়ে আর
সন্তান প্রসবের বিপুল প্রস্তুতি চলছে। সবার নজর বিভিন্ন অদ্ভুত ঘটনার দিকে।
যেমন খবর মিলেছে এক জোড়া যমজ শিশু আজকেই ১১ বছরে পড়তে যাচ্ছে। তাদের জীবনে
১১ বিশেষ প্রসঙ্গ হয়ে আসছে। ভারতে বাজিকররা ব্যস্ত অনাগত এক শিশুকে নিয়ে।
অমিতাভ বচ্চনের নাতি, অভিষেক আর ঐশ্বরিয়ার যমজ কন্যার জন্ম হওয়ার কথা নাকি
১১ নভেম্বর। এ নিয়ে বাজিকররা কোটি কোটি টাকা ইতিমধ্যে লগি্ন করে ফেলেছেন।
১১ উদ্যাপনের পেছনে মানুষের নির্ভেজাল আনন্দ উপভোগের আয়োজন আছে সত্য,
কিন্তু সঙ্গে আছে অন্ধবিশ্বাস আর কুসংস্কারেরও নানা প্রভাব। আর এ
কুসংস্কারগুলো তথ্যপ্রযুক্তির প্রভাবে পুরো পৃথিবীতেই ছড়িয়েছে। ফলে পৃথিবী
ধ্বংস হওয়ার মতো বড় ঘটনা না ঘটলেও ছোটখাটো কিছু অঘটন যে ঘটবে তা বলাই
বাহুল্য। আজ যা ঘটবে তা আগামীকালের সংবাদপত্রে নিশ্চয় আমরা জানব। কিন্তু
১৯১১ সালের ১১ নভেম্বর কী ঘটেছিল তা জেনে নেওয়া যেতে পারে। তখন পৃথিবী এত
কানেকটেড ছিল না। ফলে সারা পৃথিবীর কোথায় কী ঘটেছিল তা জেনে নেওয়া কঠিন।
এটুকু জানা যায়, এদিনে যুক্তরাষ্ট্রে মিড-ওয়েস্টার্ন রাজ্যগুলোতে তাপমাত্রা
বিকেলে সর্বোচ্চ রেকর্ড ছুঁয়েছিল আর রাতে সর্বনিম্ন হয়েছিল। খুব অবাক করার
ব্যাপার বটে। এবার তেমন অবাক করার ব্যাপার ঘটবে কি? পৃথিবীর জন্য শুভ ও
সুন্দর কিছু ঘটুক, সেটাই আমাদের প্রত্যাশা। বিবাহ ও সন্তান জন্মদানের নানা
উদ্যোগের মধ্য দিয়ে প্রিয় পৃথিবীর কল্যাণই কামনা করছি এবং সেটাই আপাতত
সুখবর।
Subscribe to:
Posts (Atom)