হাওয়া কোনদিকে তা বোঝা বড় ভার। দেশে আবহাওয়া অফিস আছে। তারা সারাক্ষণই
হাওয়ার গতিবিধি খেয়ালে রাখে। কখন ঝড় হবে, কখন বৃষ্টি হবে, কখন শৈত্যপ্রবাহ
হবে তার খবর রাখে। খবর রাখলেও সবসময় যে সঠিক পূর্বাভাস দিতে পারে_ তা নয়।
কেননা, খবর রাখাটাই জরুরি নয়, খবর নিয়ে সম্ভাব্য ভবিষ্যদ্বাণীটিই জরুরি।
আমাদের দেশে অবশ্য আবহাওয়া অফিসের দিকে তাকিয়ে থাকার রেওয়াজ নেই। কেউ
আবহাওয়া অফিসের সংকেত মেনে ছাতা নিয়ে বেরিয়েছেন ঘর ছেড়ে_ এমন উদাহরণ পাওয়া
যাবে না। কিন্তু পাশ্চাত্যে লোকে রেডিও, টিভি, ইন্টারনেটে আবহাওয়ার সংবাদ
শুনে, দেখে, পরে ঘর থেকে বের হন। সবসময় মিলতে হবে তা নয়, কিন্তু কিছুটা
মিললেও প্রস্তুতির সার্থকতা মেলে। খবর যা মেলে তাতে বোঝা যায়, পাশ্চাত্যের
লোকেরা আবহাওয়ার সংবাদে খুশি। আমাদের অবশ্য তত খুশির অবকাশ নেই।
পাশ্চাত্যের আবহাওয়া দফতরগুলো মারফত খবর মিললে তা আমাদের আবহাওয়ায় ফলে বটে।
কিন্তু দেশীয় আবহাওয়া দফতরের খবরে ভরসা অনেকেরই নেই। আবহাওয়া দফতরগুলোর
তরফেও ভরসা আনার উদ্যোগ নেই। খুব চাপাচাপি করলে তারা প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও
প্রযুক্তির অভাবের কথা জানিয়ে দেয়। সত্যিই তো, আগামীকাল কী ঘটবে তা জানার
প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কি আমাদের আছে? আবহাওয়ায় যেমন, তেমনি রাজনীতিতেও_
আগামীকাল কী ঘটবে তা জানার উপায় নেই।
এখন রাজনীতিতে চলছে শীতকাল, সংলাপের মৌসুম। শীতের শুরুতে অবশ্য মনে হয়েছিল আবহাওয়া শীতল থাকলেও রাজনীতি গরম থাকবে। বিরোধী দল একটু গরম কর্মসূচি নিয়েছিল; সরকারও গরম হয়েছে। ভাংচুর-অগি্নসংযোগ, ধরপাকড় সব ঘটবার পর একেবারে সব নিশ্চুপ। কোনো কোনো তরফে বলা হচ্ছে; না, এখনও সময় আসেনি। কেউ বলছেন, ধ্বংসের পথ নয়, সৃষ্টির পথে থাকুন। এসব কথায় কাজ হচ্ছে। বিরোধী দল ঠাণ্ডা হয়েছে। কতটা ঠাণ্ডা হয়েছে তা আবহাওয়া অফিস বলতে পারবে। কিন্তু কিছুটা ঠাণ্ডা যে হয়েছে তা নিশ্চিত। রাষ্ট্রপতির ডাকা সংলাপে তারা যেতে রাজি হয়েছে। বলেছে, আন্দোলনের অংশ হিসেবেই যাচ্ছে আলোচনায়। দাবি জানানোই মূল উদ্দেশ্য। মুখে যাই বলুক, যাচ্ছে_ সেটাই বড় কথা। রাষ্ট্রপতি ডাকলে যাওয়াটাই শ্রেয়। এর মধ্যে অবাক করার আরেক কথা শোনা গেল। পরিবেশ পেলে বিরোধীরা নাকি সংসদেও যাবেন। বেশ! সহসা কি রাজনীতির হাওয়া উল্টে গেল তাহলে? কোথায় লোকে ভেবেছিল, বিরোধীরা মাঠ গরম করবে; উল্টো সংসদ-সংলাপ শুরু হলো? রাজনীতির হাওয়া বদলের এসব চিহ্ন দেখে কিছু বোঝা যায়? শীত ঋতুতে বৃষ্টি হবে, নাকি শৈত্যপ্রবাহ, তাও কি বলা সম্ভব? যাই হোক, সংলাপ চলছে। বিষয় নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন। একে একে সবাই যাচ্ছেন। কেউ বলছেন, আইন করুন। আইন করে নিয়োগ দিন। কেউ বলছেন, এখনকার নিয়মেই চলুক। কেউ বলছেন, এই কমিশনই থাকুক। কেউ বলছেন, নতুন লোক আনুন। কেউ বলছেন, তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ছাড়া হবে না। কেউ বলছেন, ওটি ছাড়াই কাজ সারুন। সবার কথাই শোনা হচ্ছে, কিন্তু বোঝা যাচ্ছে না_ শেষে কী হবে? নানা মুনির নানা মত উজিয়ে সিদ্ধান্ত কীভাবে হবে সেটা বোঝা যাচ্ছে না। তবু তো সংলাপ হচ্ছে। দু'বছর বাদে নির্বাচন। সময় তো চোখের পলকে চলে যায়। দেখতে দেখতে দু'বছর কেটে যাবে। তার চেয়ে বড় কথা, এখনই নির্বাচন কমিশন নিয়োগ না দিলে চলবে না। নির্বাচন কমিশন আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার এই দুই নিয়েই তো চিন্তা। দেশে তো আর কোনো বিষয় নেই। থাকলেও রাজনীতিকদের সেসব নিয়ে ভাবতে নেই। কথা বলতেও নেই। টম অ্যান্ড জেরির মতো তারা পঞ্চবার্ষিক তত্ত্বাবধায়ক খেলা খেলে যাবেন। আন্দোলন করবেন, মারপিট করবেন, ধরপাকড় করবেন, সংলাপ করবেন। সংসদ ছেড়ে রাজপথ, রাজপথ ছেড়ে সংসদ_ এই নিয়ে কাটিয়ে দেবেন। বেশ তো! রাজনীতি এখন অনেক ভালো। হরতাল কম, জ্বালাও-পোড়াও কম। ষড়যন্ত্র অল্প। এতেই নাগরিকদের স্বস্তি পাওয়া উচিত। নাগরিকদের সমস্যা নিয়ে ভাবার সময় কারও কি আছে? না থাকুক। তবু রাজনীতি ভালো থাকুক। ভালো নির্বাচন কমিশন হোক, নির্বাচন নিয়ে ভালো ব্যবস্থা হোক। নাকি শেষে দেখা যাবে, এসব কিছুই হচ্ছে না। ফাইনাল খেলা রাজপথেই হচ্ছে! সে আমরা চাই না। আমরা চাই, রাজনীতিকরা সময় নিয়ে ধীরে ধীরে সংলাপ করে একটা সমাধান করুন। রাজনীতিকরা সুখে থাকলে দেশের মানুষও সুখে থাকবে নিশ্চিত।
এখন রাজনীতিতে চলছে শীতকাল, সংলাপের মৌসুম। শীতের শুরুতে অবশ্য মনে হয়েছিল আবহাওয়া শীতল থাকলেও রাজনীতি গরম থাকবে। বিরোধী দল একটু গরম কর্মসূচি নিয়েছিল; সরকারও গরম হয়েছে। ভাংচুর-অগি্নসংযোগ, ধরপাকড় সব ঘটবার পর একেবারে সব নিশ্চুপ। কোনো কোনো তরফে বলা হচ্ছে; না, এখনও সময় আসেনি। কেউ বলছেন, ধ্বংসের পথ নয়, সৃষ্টির পথে থাকুন। এসব কথায় কাজ হচ্ছে। বিরোধী দল ঠাণ্ডা হয়েছে। কতটা ঠাণ্ডা হয়েছে তা আবহাওয়া অফিস বলতে পারবে। কিন্তু কিছুটা ঠাণ্ডা যে হয়েছে তা নিশ্চিত। রাষ্ট্রপতির ডাকা সংলাপে তারা যেতে রাজি হয়েছে। বলেছে, আন্দোলনের অংশ হিসেবেই যাচ্ছে আলোচনায়। দাবি জানানোই মূল উদ্দেশ্য। মুখে যাই বলুক, যাচ্ছে_ সেটাই বড় কথা। রাষ্ট্রপতি ডাকলে যাওয়াটাই শ্রেয়। এর মধ্যে অবাক করার আরেক কথা শোনা গেল। পরিবেশ পেলে বিরোধীরা নাকি সংসদেও যাবেন। বেশ! সহসা কি রাজনীতির হাওয়া উল্টে গেল তাহলে? কোথায় লোকে ভেবেছিল, বিরোধীরা মাঠ গরম করবে; উল্টো সংসদ-সংলাপ শুরু হলো? রাজনীতির হাওয়া বদলের এসব চিহ্ন দেখে কিছু বোঝা যায়? শীত ঋতুতে বৃষ্টি হবে, নাকি শৈত্যপ্রবাহ, তাও কি বলা সম্ভব? যাই হোক, সংলাপ চলছে। বিষয় নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন। একে একে সবাই যাচ্ছেন। কেউ বলছেন, আইন করুন। আইন করে নিয়োগ দিন। কেউ বলছেন, এখনকার নিয়মেই চলুক। কেউ বলছেন, এই কমিশনই থাকুক। কেউ বলছেন, নতুন লোক আনুন। কেউ বলছেন, তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ছাড়া হবে না। কেউ বলছেন, ওটি ছাড়াই কাজ সারুন। সবার কথাই শোনা হচ্ছে, কিন্তু বোঝা যাচ্ছে না_ শেষে কী হবে? নানা মুনির নানা মত উজিয়ে সিদ্ধান্ত কীভাবে হবে সেটা বোঝা যাচ্ছে না। তবু তো সংলাপ হচ্ছে। দু'বছর বাদে নির্বাচন। সময় তো চোখের পলকে চলে যায়। দেখতে দেখতে দু'বছর কেটে যাবে। তার চেয়ে বড় কথা, এখনই নির্বাচন কমিশন নিয়োগ না দিলে চলবে না। নির্বাচন কমিশন আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার এই দুই নিয়েই তো চিন্তা। দেশে তো আর কোনো বিষয় নেই। থাকলেও রাজনীতিকদের সেসব নিয়ে ভাবতে নেই। কথা বলতেও নেই। টম অ্যান্ড জেরির মতো তারা পঞ্চবার্ষিক তত্ত্বাবধায়ক খেলা খেলে যাবেন। আন্দোলন করবেন, মারপিট করবেন, ধরপাকড় করবেন, সংলাপ করবেন। সংসদ ছেড়ে রাজপথ, রাজপথ ছেড়ে সংসদ_ এই নিয়ে কাটিয়ে দেবেন। বেশ তো! রাজনীতি এখন অনেক ভালো। হরতাল কম, জ্বালাও-পোড়াও কম। ষড়যন্ত্র অল্প। এতেই নাগরিকদের স্বস্তি পাওয়া উচিত। নাগরিকদের সমস্যা নিয়ে ভাবার সময় কারও কি আছে? না থাকুক। তবু রাজনীতি ভালো থাকুক। ভালো নির্বাচন কমিশন হোক, নির্বাচন নিয়ে ভালো ব্যবস্থা হোক। নাকি শেষে দেখা যাবে, এসব কিছুই হচ্ছে না। ফাইনাল খেলা রাজপথেই হচ্ছে! সে আমরা চাই না। আমরা চাই, রাজনীতিকরা সময় নিয়ে ধীরে ধীরে সংলাপ করে একটা সমাধান করুন। রাজনীতিকরা সুখে থাকলে দেশের মানুষও সুখে থাকবে নিশ্চিত।